স্থানীয় নয় অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন প্রলম্বিত করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
শনিবার সকালে স্থপতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শেষ ১৭ বছরে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সর্বজনগ্রাহ্য যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের যে ভয়ংকর পরিণতি আমরা দেখতে পেয়েছি সেটা তো হওয়ার কথা ছিল না। ৯০ আন্দোলনের যে স্পিড ছিল, সেই স্পিড থেকে আবারও হোঁচট খেয়ে ব্র্যাক টেকিং হবে সেটা তো কেউ প্রত্যাশা করেনি। শুধু ব্র্যাক টেকিং নয়, বিগত ১৭ বছরে এমন এমন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, সেটা তো বিস্ময়কর ‘
রিজভী বলেন, ‘এজন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞানে পলিটিক্যাল সাইন্সে নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে যে, একতরফা এক ব্যক্তির নির্বাচনের জন্য কিভাবে রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ভোটারদেরকে মাইকিং করে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে চতুষ্পদ জন্তুর পদচারণ আমরা লক্ষ্য করেছি। এই ধরনের নির্বাচন আমরা দেখেছি বিগত ১৬-১৭ বছরে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুধু তাই নয়, যারা বিরোধীদলের মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদেরকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়েছে। এটি করেছে তখনকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ মনোনয়ন জমাও দিতে পারেনি। এসব ঘটনা স্থানীয় নির্বাচনের সময়ও হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের সময়েও হয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি যাদের হাতে থাকে, তারা কী ভয়াবহ অত্যাচারের খড়গ এবং বাধার নজির সৃষ্টি করতো প্রতিপক্ষের উপরে, সেটি বলে শেষ করা যাবে না। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হতো, হামলা করা হতো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক হুদা, ইথুন বাবু, আহসান উদ্দিন খান শিপন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম